Kalabari Govt Degree College

কলাবাড়ি, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ

College Code: 6757    College EIIN: 109590

About Us

Kalabari Govt Degree College

কলাবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজের জন্ম কথা আলোচনা করার পূর্বে প্রাসঙ্গিকভাবে কলাবাড়ি ইউনিয়ন সম্পর্কে দু’টো কথা প্রাসঙ্গিক। গোপালগঞ্জ জেলাধীন (পূর্বতন ফরিদপুর) কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়ন একটি ঐতিহাসিক ও সুপ্রাচীন জনপদ। ঝিল জলবেষ্টিত -এ অঞ্চলটি এক সময় নিম্নাঞ্চলীয় ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো। বর্তমানে বর্ধিষ্ণু ও উন্নত এলাকার মর্যাদা পেয়েছে। কোটালীপাড়া উপজেলার ১নং কলাবাড়ি ইউনিয়ন শুধু প্রশাসনিক ভাবে নয় শিক্ষা ও উন্নয়নে সর্বাগ্রে। এই ইউনিয়নের নাগরিক হিসেবে আমি গর্বিত। এই অঞ্চলে কবে কিভাবে জনবসতি গড়ে উঠেছে তার সঠিক ইতিহাস বা সময়কাল নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে জনশ্রুতি আছে বাঁঘু নামে এক অন্তজঃ শ্রেণির লোক প্রথম বিশাল বিল বা জলাশয়ের দক্ষিণ পাড়ে এসে বসতি স্থাপন করে কৃষিকাজের পত্তন ঘটান। যার নাম অনুসারে পরবর্তীতে এই বিলের নাম হয় বাঁঘুর বিল বা বাঘিয়ার বিল। বাঘু মূলত জঙ্গল বা ডোঁটকুড়া বন পরিষ্কার করে ছনের ঘর তুলে এখানে বসবাস শুরু করেন। বাঘ শেয়াল জলৌকা পোকা মাকড়ের সাথে লড়াই করে জীবন যাপন করতেন। তখন জীবন ছিল শ্বাপদসংকুল। বাঘিয়ার বিল মূলত গভীর এক জলাশয়। বর্নি বাওর ও বিল চান্দার চেয়ে এই বিলের জলের গভীরতা বেশি ছিলো। বাঘিয়ার বিলের উত্তরে আমগ্রাম, পূর্বে লখন্ডা, পশ্চিমে তেতুলবাড়ী

এবং দক্ষিণ পাড়ে কলাবাড়ি নিয়ে বাঘিয়ার বিলের পরিধি। বাঘু তার বাড়ির চতুর্দিকে কলাগাছ লাগিয়ে জনদৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ফলে জনপদের নাম হয় কলাবাড়ি। তারপর কলাবাড়ি ইউনিয়ন বাঘিয়ার বিলের জীব বৈচিত্র আর মৎস্য ভান্ডার দেশব্যাপী খ্যাতি পায়। কলাবাড়ি ইউনিয়ন ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর্যায় পড়ে। যদিও বিল এখন আর সেই বিল নেই রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি বাজারে পূর্ণ হয়ে গেছে। শাপলা শালুক কলমি কমল ডাহুক কোড়া পেঁচা ঈগল চিল পানকৌড়ির ঝিল এখন পাখিশুন্য। আমরা অনেকেই জানিনা কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের *কেউ কথা রাখেনি* কবিতায় আট প্রহরের বিলের উল্লেখ আছে। আর এই আট প্রহরের বিলই হচ্ছে বাঘিয়ার বিল যেখানে পদ্ম পাতার উপরে সাপ আর নেউল খেলা করে। একটু না বললেই নয় কবি ও ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মবাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার মাইঝপাড়া গ্রামে। তার শৈশব কেটেছে মামা বাড়ি আমগ্রামে। আর আমগ্রাম হচ্ছে বাঘিয়ার বিলের উত্তর পাড়ে। কলাবাড়ি ইউনিয়নের আরও একটি বড় ঐতিহ্য হচ্ছে গহনায় অলংকৃত নৌকা বাইচ। বাংলাদেশ তথা পূর্ব এশিয়ায় এমন ঐতিহ্য অন্যতমের দাবিদার। রানী রাসমনির স্বামী রাজ চন্দ্র দাস ছিলেন মকিমপুর পরগনার নড়াইলের জমিদার। এই জমিদারির আরেকটি অংশ ছিল তালিমপুর তেলিহাটি পরগনা বৈকুন্ঠপুর মৌজা, কলাবাড়ি মৌজা,বিষ্ণুপুর মৌজা, হাজরা বাড়ি মৌজাগুলো ছিলো এই পরগনার অন্তর্গত। এসব মৌজার খাজনা আদায়ের স্বার্থে দিঘলিয়া গ্রামে এক সময় একটি খাজাঞ্চিখানা স্থাপন করা হয়। এই খাজাঞ্চি খানার নায়েব নিযুক্ত হন যশোরের দিঘাপতি জমিদারের দ্বারপন্ডিত শিবরাম চৌধুরী। তিনি কোটালীপাড়ার ডহরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। কবি ও গীতিকার মোহিনী চৌধুরী, চিত্রশিল্পী ও ভারতের রাজ্যসভার সদস্য যোগেন চৌধুরীর কাকা এবং সাবেক অধ্যক্ষ গৌরাঙ্গ চৌধুরীর বংশীয় পূর্বপুরুষ ছিলেন তিনি। খাজাঞ্চি খানার দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি তার স্ত্রীর অনুরোধে দিঘলিয়া *দক্ষিণা কালী বাড়ি * নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এখন সর্বজনীন কালী মন্দির হিসেবে জাগ্রত রয়েছে। প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে তিনি বাঘিয়ার বিলে নৌকা বাইচের প্রচলন করেন। প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজার পরে লক্ষ্মী দশোহরা দিনে পরগনার প্রজারা নৌকা বাইচ দিতে দিতে চৈতার বাড়ির পাথার দিয়ে পারা কাটা হয়ে দিঘলিয়া কালীবাড়ি যেতেন খাজনা দিতে। খাজনা দেয়া হয়ে গেলে একযোগে নৌকাগুলো বাইচ দিতে বাঘিয়ার বিলে জলারণ্যে চলে আসতো এবং অনেক আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে নৌকা বাইচ হোত। সাধারণ মানুষেরা দূর-দূরান্ত হতে এমন সুন্দর সাজানো বাচাড়ি ও ছান্দি নৌকার প্রতিযোগিতামূলক টান দেখতে আসতো। সেই থেকে ঐতিহ্যবাহী বাঘিয়ার নৌকা বাইচ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যা এখনো প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে আমাদের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিকে। আজ আর নৌকা বাইচ সেই বিলে হয় না বিল ভরাট হওয়ার কারণে নৌকা বাইচ সরে গিয়ে প্রথমে কলা বাড়ি গ্রামে পরে কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বাবুর খাল বা ঘাঘর নদীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমানে কালিগঞ্জ বাজার থেকে ঘাঘর নদীর ঘোলা বা পশ্চিমকান্দি পর্যন্ত বিস্তৃত। যা দেখার জন্য এখনো লক্ষ লক্ষ লোক জমায়েত হয় এবং নানামত পসরা সাজিয়ে নদীর দু’পাড়ে মেলা বসে। জারি সারি গান টিকারার বাদ্যি রংবেরঙের বহুরূপী সাজ আকাশ সংস্কৃতিকে ছাপিয়ে লোক সংস্কৃতিকে করেছে নন্দিত ছন্দিত। আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য আমাদের কলাবাড়ি ইউনিয়ন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে অন্যতম। এখানে উৎপাদিত হয় ধান পাঠ তরমুজ বাঙ্গি শীতকালীন সবজি টমেটো ফুলকপি বাঁধাকপি মূলো লঙ্কা বিভিন্ন রকমের শাকসবজি লাউ কুমড়ো দেশি মাছ এবং শুটকি মাছ। দেশী মাছের মধ্যে কই মাছ জিওল মাছ শোল-গজার পাবদা, টেংরা, পুটি, বোয়াল, আড় মাছ, বান মাছ, রুই-কাতলা, চিতল, কালবুশ, সরপুঁটি, ল্যাঠা ইত্যাদি। তরমুজ এবং বাঙ্গি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ফলের যোগানদার । কালিগঞ্জ বাজার কলাবাড়ি ইউনিয়নবাসীর প্রাণকেন্দ্র। শিক্ষিতের হার জেলার অন্যান্য ইউনিয়নের চেয়ে অনেক বেশি। অমরপুরুষ স্বর্গীয় মনোহর বিশ্বাস (সমাজ সেবক), স্বর্গীয় ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত (সমাজসেবক শিক্ষানুরাগী), স্বর্গীয় বিনয় কৃষ্ণ হালদার (সমাজ সেবক), স্বর্গীয় অশ্বিনী সরকার (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), স্বর্গীয় শশীভূষণ দাস (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), স্বর্গীয় বুদ্ধিমন্ত বিশ্বাস (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), স্বর্গীয় চিত্তরঞ্জন গায়ন (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), স্বর্গীয় সূর্যকান্ত দত্ত (প্রাক্তন চেয়ারম্যান),স্বর্গীয় সুখদেব বৈদ্য (সমাজ সেবক), শিক্ষাবিদ স্বর্গীয় তরণী কান্ত অধিকারী (প্রধান শিক্ষক), অধ্যাপক সদানন্দ বিশ্বাস, স্বর্গীয় ডাক্তার রেনুভূষণ বাড়ৈ, স্বর্গীয় সুরেন্দ্র নাথ রায় (শিক্ষক), স্বর্গীয় কাশীশ্বর বাগচী (সমাজসেবক), স্বর্গীয় বিশ্বেশ্বর হাজরা (সমাজ সেবক), শ্রী ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক), শ্রী সিদ্ধেশ্বর হালদার (অবঃ শিক্ষক), বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক শ্রী রবীন্দ্র নাথ অধিকারী, স্বর্গীয় অমূল্য চন্দ্র দত্ত ( কৃষি অফিসার), শ্রীমতি কৌশল্যা বাগচী (সচিব), ডাঃ সিদ্ধেশ্বর মজুমদার (প্রাক্তন সিভিল সার্জন), ডাঃ হরষিৎ হালদার, ইঞ্জিনিয়ার হেম চন্দ্র বৈদ্য, ইঞ্জিনিয়ার শচীন্দ্র নাথ হালদার, ইঞ্জিনিয়ার গোপাল চন্দ্র বাগচী এই ইউনিয়নের আরো অনেক কৃতি সন্তানসহ কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী সন্তান জন্মগ্রহণ করেছেন যাদের জন্য আমরা গর্ববোধ করি। অনগ্রসর গ্রাম্যজনদের শিক্ষা বিস্তারের জন্য আমাদের কলাবাড়ি ইউনিয়নে বেশ কটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কলাবাড়ী ইউনিয়নবাসীর প্রানের দাবি ছিল অজপাড়া গাঁয়ের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। সে আলোকে হিজলবাড়ী গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বর্গীয় সিদ্ধেশ্বর হালদার (সমাজসেবক), শ্রী মধুসুদন হালদার (অবঃ শিক্ষক), স্বর্গীয় বিদ্যুৎ কান্তি বিশ্বাস (সহকারী অধ্যাপক), শ্রী রবীন্দ্র নাথ বাড়ৈ (অবঃ অধ্যক্ষ), স্বর্গীয় কার্তিক চন্দ্র হালদার (জমি দাতা), শ্রী সঞ্জয় হালদার (জমি দাতা), শ্রী গোসাইদাস হাজরা (জমি দাতা), শ্রী চিত্ত রঞ্জন দাস (অবঃ শিক্ষক), নলুয়া নিবাসী শ্রী সুভাষ চন্দ্র হাজরা (অবঃ শিক্ষক), মাছপাড়া নিবাসী শ্রী নীরোদ বরণ বিশ্বাস (অবঃ শিক্ষক), শ্রী সত্য রঞ্জন হালদার, প্রমুখ ব্যক্তি বর্গের উদ্দ্যোগে ০৭-০৬-১৯৯৫ ইং সালে বিশেষ সভায় “কলাবাড়ী ইউনিয়ন আদর্শ মহাবিদ্যাল” নামে কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।এরপর হিজলবাড়ী গ্রামের সর্ব স্তরের জনগনের সিদ্ধান্তে ৮.৩০ একর জমি কলেজের নামে দান করা হয়। মাছপাড়া নিবাসী শ্রদ্ধেয় নীরোদ বরণ বিশ্বাস ও এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উদ্দ্যোগে কলেজের প্রথম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার সার্বিক অর্থায়নের জন্য দানশীল শিক্ষানুরাগী সমাজ সেবক বাবু গৌর চন্দ্র বিশ্বাস (অবঃ সঃ প্রাঃ প্রধান শিক্ষক) এগিয়ে আসেন এবং বাবু গৌর চন্দ্র বিশ্বাস কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিগণিত হন। পাশাপাশি স্বর্গীয় সিদ্ধেশ্বর হালদার (সমাজ সেবক), শ্রী সুভাষ চন্দ্র হাজরা (সমাজ সেবক), শ্রী মধুসূদন হালদার (অবঃ শিক্ষক), শ্রী কুমুদ রঞ্জন হালদার (সমাজ সেবক), শ্রী নীরোদ বরণ বিশ্বাস (অবঃ শিক্ষক) এবং শ্রী রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ (অবঃ অধ্যক্ষ) মহোদয়গণ কে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যার অক্লান্ত পরিশ্রমে কলেজটি এ পর্যায়ে পৌছেছে তার মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী রবীন্দ্র নাথ বাড়ৈ (অবঃ অধ্যক্ষ) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আজকের সরকারি শেখ রাসেল কলেজ জন্ম লগ্ন থেকে এই নামে ছিলো না। প্রথমে কলেজটি *কলাবাড়ি ইউনিয়ন আদর্শ মহাবিদ্যালয় *নামে ০৭/০৬/১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেসব মহান ব্যক্তিত্ব সক্রিয়ভাবে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিত্ব স্বর্গীয় মতিলাল বিশ্বাস (সঃ প্রাঃ শিক্ষক), স্বর্গীয় হরেন্দ্র নাথ বৈদ্য(সমাজ সেবক), স্বর্গীয় শরৎ চন্দ্র বালা (সঃ প্রাঃ শিক্ষক), স্বর্গীয় চিত্তরঞ্জন রায় (প্রাক্তন চেয়ারম্যান), স্বর্গীয় শরৎ চন্দ্র হালদার (সমাজ সেবক), স্বর্গীয় অমল চন্দ্র বিশ্বাস (সঃ প্রাঃ শিক্ষক), স্বর্গীয় কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস, শ্রী রমণী কান্ত বিশ্বাস, স্বর্গীয় কমলেশ চন্দ্র বিশ্বাস (সঃপ্রাঃ শিক্ষক), স্বর্গীয় মাখনলাল গাইন (সঃপ্রাঃ শিক্ষক), শ্রী যাদব চন্দ্র বিশ্বাস (সঃপ্রাঃশিক্ষক), শ্রী চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস (সমাজসেবক), শ্রী বিজয় কৃষ্ণ রায় (সঃপ্রাঃ শিক্ষক), শ্রী চিত্তরঞ্জন মজুমদার (সঃ প্রাঃ শিক্ষক), শ্রী আশুতোষ মজুমদার (সঃ প্রাঃ শিক্ষক) এদের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয়)। এছাড়া অনেক শিক্ষানুরাগী , চাকুরিজীবী, কৃষক শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণের শারীরিক মানসিক এবং শুভ আশীর্বাদে অজপাড়াগাঁয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কলাবাড়ী ইউনিয়ন আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের নাম গত ০৮/১০/১৯৯৭ ইং তারিখ পরিবর্তিত হয় এবং কলেজটি শেখ রাসেল মহাবিদ্যালয় নামে নামাঙ্কিত করা হয়। হাটি হাটি পা পা করে চলতে চলতে ২৮/০৪/২০০১ খ্রীঃ এম পি ও ভুক্ত হলে কলেজটি প্রাণ পায়। অনগ্রসর সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আলোকবর্তিকা হিসেবে কলেজটি প্রস্ফুটিত হতে থাকে। একপর্যায়ে ২০১০ সালে শেখ রাসেল মহাবিদ্যালয় রেজাল্ট এর ভিত্তিতে জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়। বর্তমানে কলেজটি * কলাবাড়ী সরকারি ডিগ্রি কলেজ* নামে পরিগনিত হয়।